অম্বুবাচী উপলক্ষে ফল বিতরণ , উদ‍্যোগে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব

23rd June 2021 1:36 pm হুগলী
অম্বুবাচী উপলক্ষে ফল বিতরণ , উদ‍্যোগে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : হিন্দু ধর্ম অনুসারে বাৎসরিক পুজো পালিত হয় অম্বুবাচীর সময়ে। বেদ মতে পৃথিবীকে মা মাতৃরূপে দেখা হয়। মনে করা হয় আষাঢ়ের এই সময় জমিতে ঋতুমতী হন। যার হাত ধরে আসে শস্যশ্যামলা বসুন্ধরা। নারীর সঙ্গে সন্তানের যেমন সম্পর্ক তেমনই মাটির সঙ্গে ফসলের সম্পর্ককে কল্পনা করেই এই উৎসব পালিত হয়। 'অম্বুবাচী' শব্দটি এসেছে অমাবতী থেকে। এই নামেও মা বা নারী শক্তির বার্তা আসে। কথিত রয়েছে অম্বুবাচীর সময় বিধবা মহিলারা সন্ন্যাসীরা পৃথিবীকে মাতৃ রূপে দেখেন এবং একাধিক ব্রত পালন করেন। ফলে মাটির উপর এঁরা কাঠ, কয়লা বা আগুন জ্বালান না, যাতে মাটি কষ্ট হয়। সেই মতে বিশ্বাসী হয়ে এই ৩ দিন ফলাহার করে কাটান এঁরা।
দুয়ারে রান্নাঘর, মা ক্যান্টিনের পর 
এবার পালন করা হলো  অম্বুবাচী। আজ সকালে  শেওড়াফুলিতে এই কর্মসূচি পালন করা হলো।  পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুবীর ঘোষের উদ্যোগে। এলাকার ৫০ জন বিধবা মহিলার হাতে অম্বুবাচী উপলক্ষে ফল মিষ্টি তুলে দেয়া হয।  সুবীর ঘোষ বলেন এই মহামারী কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ তৃণমূল  কর্মীদের সবসময় মানুষের পাশে থাকতে হবে তাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে। তারই অঙ্গ হিসেবে আমরা আজকে  অম্বুবাচী অনুষ্ঠান পালন করলাম।  আজকে অম্বুবাচী উপলক্ষে মহিলাদের হাতে ফল এবং মিষ্টি তুলে দিতে পেরে  নিজেদের ধন্য মনে করছি। 
সুবীর ঘোষের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এলাকার মানুষ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।