সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : হিন্দু ধর্ম অনুসারে বাৎসরিক পুজো পালিত হয় অম্বুবাচীর সময়ে। বেদ মতে পৃথিবীকে মা মাতৃরূপে দেখা হয়। মনে করা হয় আষাঢ়ের এই সময় জমিতে ঋতুমতী হন। যার হাত ধরে আসে শস্যশ্যামলা বসুন্ধরা। নারীর সঙ্গে সন্তানের যেমন সম্পর্ক তেমনই মাটির সঙ্গে ফসলের সম্পর্ককে কল্পনা করেই এই উৎসব পালিত হয়। 'অম্বুবাচী' শব্দটি এসেছে অমাবতী থেকে। এই নামেও মা বা নারী শক্তির বার্তা আসে। কথিত রয়েছে অম্বুবাচীর সময় বিধবা মহিলারা সন্ন্যাসীরা পৃথিবীকে মাতৃ রূপে দেখেন এবং একাধিক ব্রত পালন করেন। ফলে মাটির উপর এঁরা কাঠ, কয়লা বা আগুন জ্বালান না, যাতে মাটি কষ্ট হয়। সেই মতে বিশ্বাসী হয়ে এই ৩ দিন ফলাহার করে কাটান এঁরা।
দুয়ারে রান্নাঘর, মা ক্যান্টিনের পর
এবার পালন করা হলো অম্বুবাচী। আজ সকালে শেওড়াফুলিতে এই কর্মসূচি পালন করা হলো। পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুবীর ঘোষের উদ্যোগে। এলাকার ৫০ জন বিধবা মহিলার হাতে অম্বুবাচী উপলক্ষে ফল মিষ্টি তুলে দেয়া হয। সুবীর ঘোষ বলেন এই মহামারী কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ তৃণমূল কর্মীদের সবসময় মানুষের পাশে থাকতে হবে তাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে। তারই অঙ্গ হিসেবে আমরা আজকে অম্বুবাচী অনুষ্ঠান পালন করলাম। আজকে অম্বুবাচী উপলক্ষে মহিলাদের হাতে ফল এবং মিষ্টি তুলে দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি।
সুবীর ঘোষের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এলাকার মানুষ।